ভবনের লে-আউট প্রদান.
.
২য় পর্ব
.
.
আজ লিখবো একজন প্রকৌশলী কিভাবে একটি ভবনের লে-আউট প্রদান করেন এবং এর ফলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়..!!
.
ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীদের যোগাযোগের একটা আন্তর্জাতিক ভাষা...কোন ভবনের লে-আউট প্রদানের জন্য যে ড্রয়িং তৈরী করা হয় সেখানে সাধারনত a,b,c,d.....এবং
.
লে-আউট দেওয়ার প্রধান কাজ হলো ড্রয়িং এ দেওয়া গ্রীডলাইনগুলোকে
নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো....
.
১. প্রথমে একটি Baseline বা সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়...সীমারেখাটি
.
২. বেসলাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত গ্রীডলাইনগুলোকে
.
৩. এরপর যেকোন একটা সুবিধামত (1,2,3,4...) গ্রীডলাইনের সমকোণে রেখে আরেকটি গ্রীডলাইন চিহ্নিত কররা হয়...!!
.
৪. একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রীডলাইনগুলো পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মত আবার নতুন গ্রীডলাইনগুলো বসানো হয়...!!
.
৫. সাময়িক বা অস্থায়ী খুঁটির বদলে স্থায়ী কংক্রিটের খুঁটি ব্যবহার করে গ্রীডলাইনগুলোকে
.
৬. লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চূড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের প্লিন্থ লেভেলে নির্ধারণ করা হয়...প্লিন্থ লেভেলের চিহ্ন এমন স্থানে রাখতে হয় যেন সেখানে সহজে যাওয়া যায় এবং দেখা যায়...সেই স্থানের অস্তিত্ব যেন ভবন নির্মাণের শেষ পর্যন্ত দেখা যায়..!!
.
৭. পরস্পর লম্ব দুইটি গ্রীডলাইনের ছেদবিন্দু থেকে কলাম এবং ফাউন্ডেশনের সাইজ, অবস্থান এবং গভীরতা নির্ধারণ করা হয়...!!
.
৮. কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরস্পর লম্ব চারটি গ্রীডলাইনের দ্বারা আবদ্ধ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য যেন ৯০ ডিগ্রি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়...!!
.
ভবনের লে-আউট দেওয়া ভবন নির্মাণের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ...ভবনের লে-আউট দিিয়ে কাজ করলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়...যেমন :
.
১. ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে...!!
.
২. ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মিস্ত্রি বা ফোরম্যান সহজে এবং সুন্দর ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে..!!
.
৩. নির্মাণ কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কলামের অবস্থান পুনরায় পরীক্ষার জন্য স্থায়ী লে-আউটের প্রয়োজন হয়..!!
.
৪. ভবনের নকশা বা আসল জমিতে কোন রকম সমস্যা থাকলে তা লে-আউট চলাকালীন সময়ে সংশোধন করা যায়...!!!